শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার (রহঃ) বিচারিক হত্যাকে যারা সমর্থন করেন, তাদের প্রতি জিজ্ঞাসা!

 

প্রহসনের মামলায় অবিচারের শিকার হয়ে হযরত ইউসুফ (আঃ) ৮ বছর জেল খেটেছিলেন। ৮ বছর পরে তদন্ত কমিটি হয়েছিল এবং তিনি যে নিস্কলুষ তা প্রমাণিত হয়েছিল। তাঁকে বাদশাহ জেল থেকে মুক্তি দিয়ে তাঁর আমানতদারীতা ও পবিত্র চরিত্রের প্রমাণের কারণে একান্ত সচিব হিসেবে নিযুক্তির অফার করেছিলেন। পরে দেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছিল এবং পরবর্তীতে পুরো দেশের শাসনভার তাঁর ওপর ন্যস্ত করা হয়।

কুরআনে বর্ণিত সূরা ইউসুফের বর্ণনা থেকে আমরা শিক্ষা পাই যে, ষড়যন্ত্রকারীরা স্বল্প সময়ের বাহাদুরীতে নিজেদের বিজয় দেখার চেষ্টা করে। কিন্তু আল্লাহর প্ল্যান ওদের জানা থাকে না। আল্লাহ যাদেরকে সম্মানিত করতে চান, তাদেরকে অবশ্যই সম্মানিত করবেন। তাঁদেরকে ষড়যন্ত্রকারীরা কীভাবে অসম্মানিত করতে পারবে?

শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাকে (রহঃ) হত্যা করা হয়েছে; প্রহসনের প্রশ্নবিদ্ধ বিচারের আয়োজনের মাধ্যমে। তাঁর প্রকৃত অপরাধ হচ্ছে তিনি ইসলামী আন্দোলনের নেতা। আল্লাহর সার্বভৌমত্ব কায়েমের আন্দোলনে তিনি যুক্ত ছিলেন আপোষহীনভাবে। প্রতিটি ষড়যন্ত্রকারীকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে জিজ্ঞাসা করতে চাই, বুকে হাত দিয়ে বলোতো, আল্লাহর সার্বভৌমত্ব সমাজের সব জায়গায়, দেশের সব জায়গায়, পৃথিবীর সব জায়গায় প্রতিষ্ঠিত থাকুক; আল্লাহর দেওয়া আইন-বিধান অনুসারে সবকিছু চলুক, মানুষের গড়া কোন আইন দিয়ে নয়, এটা কি সত্যিই তোমরা চাও বা এই চাওয়াকে মন থেকে মেনে নিতে পারো? ভালো করে ভাবো। আবার ভাবো।

এবার নিজেকে প্রশ্ন করো তো, সত্যিই আব্দুল কাদের মোল্লাকে তোমরা কেন খুন করেছো বা খুন করিয়েছো? ওনাকে হত্যার পেছনে গভীর লক্ষ্যটা তোমাদের কী ছিল?

(শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা রহিমাহুল্লাহ আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অকুতোভয় সৈনিক হিসেবে জীবন দিয়ে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। তিনি বাতিলের আবদারে মাথা নোয়াননি, তিনি ছিলেন দ্বীনের পথে অটল, অবিচল, দ্বিধাহীন, নিঃসংশয়, নির্ভিক। আল্লাহ তায়ালা তাই শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার (রহঃ) এই জীবন দিয়ে প্রদত্ত শাহাদাত তথা সাক্ষ্যকে কবুল করুন। আমীন।)

মন্তব্য